চন্দনা - বারাশিয়া, গড়াই - মধুমতি, পদ্মার বিধৌত পললে খর্জ্জুর, তাল - তমাল, বনরাজির লীলা নিকেতন, পীর - দরবেশ, আউল-বাউল, সাধক কবিদের পুণ্য ভূমি, ইতিহাসখ্যাত নীল বিদ্রোহের অগ্নিস্থল, স্বনির্ভর আন্দোলনের পাদপীঠ, ছায়া শ্যামল গ্রাম বাংলার রূপনিকেতন বিচিত্র বৈভবে ঐতিহ্যবাহী সাবেক যশোর জেলার অধীন বর্তমান ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত আলফাডাঙ্গা উপজেলা। কবে কখন আলফাডাঙ্গার নামকরন হয়েছিল তার সঠিক তথ্য জানা যায় না। তবে কেউ কেউ বলেন মধুমতি নদীর কূলে ‘‘ আলফা’’ নামে এক ধরনের লতানো গাছে সুন্দর ফুল ডাংগায় ফুটতো; সেই থেকে আলফা ফুলের নামানুসারে আলফাডাঙ্গার নামকরন হয়। এই নাম নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। প্রকৃতির নিয়মে ভাঙ্গন স্বাভাবিক। নিষ্ঠুর মধুমতির রাহুগ্রাসের ফলে ১৩৬ বর্গ কি:মি: ৩৩৬০৮ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট আলফাডাংগা উপজেলা মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের ফলে ৮৪ টি মৌজা ৬৪ টি মৌজায় এসে দাড়িয়েছে।
১৯৬০ সালে আলফাডাঙ্গা থানাকে ফরিদপুর জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এর পূর্বে আলফাডাঙ্গা থানা ছিল যশোর জেলার নড়াইল মহাকুমার আওতাধীন। প্রখমত আলফাডাঙ্গা উপজেলা ০৪টি ইউনিয়ন ৮২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয়। ইউনিয়ন গুলো হচেছ (১) বুড়াইচ (২) গোপালপুর ( ৩) আলফাডাঙ্গা (৪) টগরবন্দ ।
আলফাডাঙ্গা ১৯৮৩ সালের ২৪ মার্চ থানা থেকে উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। এ সময় বোয়ালমারী উপজেলার বানা ও পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন দুটিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। ফলে ০৬টি ইউনিয়নে ১১৮টি গ্রাম নিয়ে বর্তমান আলফাডাঙ্গা উপজেলা ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস